শুরুতেই একটি প্রশ্ন করে শুরু করি, বলুন তো ইন্টারনেট আসার ফলে, আমাদের সব থেকে বড় সুবিধা কি হয়েছে?
সমস্যা নেই, যদি ধরতে না পারেন, আমি বলে দিচ্ছি; ইন্টারনেটের কল্যাণে সব থেকে বড় যে সুবিধা হয়েছে, তা হচ্ছে ঘরে বসেই কঠিন কঠিন কাজ গুলো সম্পাদন করা যাচ্ছে।
করোনা মহামারির পর থেকে আমরা “ঘরে বসে উপার্জন” কথাটির সাথে বেশি পরিচিতি লাভ করেছি; ফলে আমাদের সময় অনেক বেচে যাচ্ছে এবং আমরা বৈদেশিক মূদ্রার আয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি।
কিন্তু আমাদের অনেকেই মনে করছেন যে, অনলাইনে আয় করা খুবই সহজ এবং তাতে কোনো প্রকার স্কিল দরকার হয় না।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রথাগত চাকরীর চেয়ে, অনলাইনে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে অধিক শ্রম এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এসব কিছু অর্জন করে একজন মানুষকে অনলাইন থেকে আয় করা শিখতে হয়।
Fiverr, Freelancer, Upwork, PeoplePerHour ইত্যাদি সহ আরো অনেক অনলাইন আয়ের ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ইনকাম করছে ঘরে বসেই।
তাই আজকের আলোচনা হবে, কিভাবে আপনি তাদের মত অনলাইন ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন খুব সহজ কিছু স্কিল নিয়েই।
নিম্নে ফ্রিল্যান্সিং করার ৬ টি সহজ উপায় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে, আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠনের জন্য সব চেয়ে কর্যকরী দক্ষতা অর্জন করার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন।
১. ফ্রিল্যান্সিং

এই আলোচনার প্রথম লিস্টের প্রথমেই রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু কথা হচ্ছে কোন বিষয়ের উপর আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন?
অনেক অনেক বিষয় রয়েছে, যার মধ্য থেকে আপনি যেকোনো একটি বিষয়ের উপর সঠিক দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন।
সব চেয়ে ছোট বিষয় গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- Data Entry
- Presentation Management
- Microsoft Word
- Email Signature Design
- Email Scrapping
ইত্যাদি আরো অনেক ছোট ছোট সেক্টর রয়েছে, যা আপনি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই শিখতে পারবেন এবং কাজ করার দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যারা বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতেছে। এমনকি তারা মার্কেটপ্লেস ছাড়াও “বড়” ভাই-দের কাছেও কাজ করে তাদের নিজের চাহিদা সহ পরিবারে সাহায্য করতে পারছে।
Fiverr, UpWork, PeoplePerHour, Toptal ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে আপনি চাইলে উপরের স্কিল গুলোতে কাজ করতে পারেন।
যদি ফ্রিল্যান্সিং বলতে সকল কাজ করাকেই বুঝায়, যা অনলাইনের মাধমে সম্পন্ন করা হয়, কিন্তু এছাড়াও আপনি অনলাইনে আপনার এজেন্সি বিসজনেস দিয়েও আয় করতে পারবেন।
তাহলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?
আপনার জন্য সুখবর যে, আপনি চাইলে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন, শুধু মাত্র “ঘরে বসে Freelancing” কোর্সটি করেই!
কেন “ঘরে বসে Freelancing” কোর্সটি করবেন?
- উক্ত কোর্সে পাবেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত গাইডলাইন
- কোন কোন বিষয়ের উপর আপনার দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন, এবং কেন উক্ত বিষয় গুলো বর্তমান কাজের উপর চাহিদা বেশি, সেসবের উপর বিস্তারিত আলোচনা
- International Market গুলো (Fiverr, Upwork ইত্যাদি) তে কিভাবে নিজের একাউন্ট খুলে কাজ পাবেন, তার সম্পূর্ন গাইডলাইন
- কিভাবে মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ড পাবেন,সেসম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এবং টিপস
এছাড়াও কোর্স শেষে সম্মাননামূলক সনদ তো থাকছেই।
কি কি থাকছে এই কোর্সে?
- ৮৮ টি ভিডিও
- ৮ টি চিটশিট
- ৭ সেট কুইজ
- ১ টি ডিজিটাল বুক
২. ডাটা এন্ট্রি

এখন পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সব থেকে সহজ এবং বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে Data Entry. যদি যদি মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ পারেন, তাহলে আপনার জন্য Data Entry র কাজ অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার/স্টুডেন্টরা ঘরে বসেই একটি কম কনফিগারেশন সম্পন্ন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ দিয়ে খুব সহজেই তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতেছে।
আপনার যদি খুব তারাতারি টাকা ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আপনি প্রথমেই Data Entry র কাজের দিকে মনোযোগী হতে পারেন।
কেননা, এই কাজ তুলনামূলক অনেক সহজ এবং সহজেই ক্লাইন্ট পাওয়া যায়, ফলে আপনি অল্প কিছু দিন চেষ্টার পরেই প্রথম অনলাইন ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
সব কাজ সহজ হলেও, যদি কেউ সেটা না শিখে, তাহলে করতে পারবে না। তেমনি ডাটা এন্ট্রিও।
তাহলে আপনি কিভাবে শিখবেন ডাটা এন্ট্রির কাজ?
আপনার জন্য রয়েছে এডভান্সড একটি কোর্স যার মধ্যে আপনি আপনার ডাটা এন্ট্রি’র ক্যারিয়ার গঠনের সকল কিছুর সমাধান পাবেন।
“Data Entry দিয়ে Freelancing” নামক কোর্সটি হতে পারে আপনার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
কেন আপনি এই কোর্সটি করবেন?
- একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডাটা এন্ট্রি’র সকল কুটিনাটি শিখানো হবে
- প্রফেশনাল লেভেলে কিভাবে মার্কেট প্লেসে কাজ করতে পারবেন, সেসব বিষয়ে শিখতে পারবেন
- কোনো প্রকার এডভান্সড টেকনোলোজি বা আইটি দক্ষতা ছাড়াই কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন, তা সম্পর্কে সম্পূর্ন ধারনা পাবেন
কি কি থাকবে এই কোর্সে?
- ৪৩ টি ভিডিও
- ৬ ঘন্টা’র অধিক সময়
- ৬ সেট কুইজ
৩. লোগো ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং-এর সব থেকে বড় সেক্টর হলো, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, এর মধ্যে একটি সাব-সেক্টর হচ্ছে লোগো ডিজাইন।
লোগো ডিজাইনের মার্কেট বর্তমানে অনেক বেশি প্রসস্থ এবং চাদিহা সম্পন্ন, ফলে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে এই সেক্টরে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
বর্তমানে লোগো ডিজাইন একটি প্রফেশনাল পেশা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, ফলে যে কেউ চাইলে ভালো দক্ষতা অর্জন করে নিজের ক্যারিয়ার দাড় করাতে সক্ষম হতে পারবে।
লোগো ডিজাইনের মধ্যে বেশ কিছু চাহিদা রয়েছেঃ
- Monogram Log
- Typographic Logo
- Combinataion Logo
- Abstract Logo
ইত্যাদি নানান ধরনের লোগো রয়েছে, এবং এসব সার্ভিস দিয়ে আপনি ভালো মানের মূল্য আয় করতে পারবেন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে।
এছাড়াও ওয়েবসাইট লোগো, অ্যাপ লোগো, পেজ লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া লোগো ইত্যাদি সহ আরো নানান ক্রিয়েটিভ লোগো ডিজাইন এর কাজ আপনি করতে পারবেন।
শিখার জন্য কি কি পথ আছে?
আপনাদের জন্য রয়েছে ১০ মিনিট স্কুলের বিশেষ একটি কোর্স “Logo Design করে Freelancing” কোর্সটি, যা থেকে আপনি লোগো ডিজাইন শিখা থেকে শুরু করে টাকা আয় করা পর্যন্ত শিখতে পারবেন।
কি কি থাকবে “Logo Design করে Freelancing” কোর্সে?
- একদম বেসিক থেকে শুরু করে প্রফেশনাল লোগো ডিজাইন শিখতে পারবেন
- Adobe Illustrator ব্যবহারের পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করতে পারবেন
- বিভিন্ন রকম লোগো ডিজাইন করার পদ্ধতি যেমনঃ Monogram, Typographic, Combination ইত্যাদি ধরনের লোগো ডিজাইন আইডিয়া পাবেন
- কিভাবে কাজ করবেন, এবং কিভাবে আপনার ব্যাংকে টাকা আনবেন এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং ধরণা দেওয়া হবে
কেমন হবে কোর্সটি?
- ২০ টি ভিডিও
- ৪ টি নোট
- ২ সেট কুইজ
- ৫ ঘন্টার বেশি সময়ের ভিডিও
৪. টি শার্ট ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইনের আরেকটি অন্যতম প্রফেশনাল এবং চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর হচ্ছে “টি-শার্ট ডিজাইন”। বর্তমান সময়ে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই তাদের কোম্পানীর প্রচার এবং প্রসারের জন্য টি-শার্ট ডিজাইন করে থাকে।
এছাড়াও, ব্যক্তিগতভাবে টি-শার্ট অনেকেই ডিজাইন করে থাকে, ফলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে টি-শার্ট একটি ইভার-গ্রিন সেক্টর,যা শিখে আপনি মাসে ৮০০-১২০০ ডলার সর্বনিম্ন আয় করতে পারবেন প্রতি মাসে।
বর্তমানে সারা বিশ্বে অধিকাংশ মানুষই টি-শার্ট ব্যবহার করে তাদের অবসর সময়ে, ফলে এর চাদিহা দিন দিন বেড়েই চলছে।
আপনার ক্যারিয়ার দাড় করানোর জন্য আপনি “টি-শার্ট ডিজাইন” কে বেচে নিতে পারেন, যদি আপনার ডিজাইনের প্রতি অধিক আগ্রহ থাকে।
টি-শার্ট ডিজাইন তেমন কঠিন কোনো কাজ নয়, ফলে আপনি অল্প দিনের মধ্যেই ভালো মানের টি-শার্ট ডিজাইন শিখতে পারবেন। এমনকি ক্লাইন্ডকে সার্ভিস দিতেও সক্ষম হবেন।
কিভাবে শিখবেন টি-শার্ট ডিজাইন?
দারুণ সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য, আপনি চাইলে টেন মিনিট স্কুলের “T-Shirt Design করে Freelancing” কোর্সটি করতে পারেন। যা একটি বিগিনার টু প্রফেশনাল কোর্স, ফলে আপনি শুরু থেকে প্রফেশনাল লেভেলের কাজ শিখতে পারবেন।
কেন “T-Shirt Design দিয়ে Freelancing” কোর্সটি করবেন?
- বেসিক থেকে এডভান্সড পর্যন্ত টি-শার্ট ডিজাইনের জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছুই পাবেন এই কোর্সে
- Adobe Illustrator দিয়ে কিভাবে প্রফেশনাল ডিজাইন করা যায়, তা জানতে পারবেন
- টি-শার্ট ডিজাইনের কৌশল এবং কোয়ালিটি ডিজাইন কিভাবে করবেন সেটা জানতে পারবেন
- Typographic এবং Vintage টি-শার্ট ডিজাইন সম্পর্কে সম্পুন্ন ধারণা লাভ করবেন
- প্রফেশনাল টি-শার্ট ডিজাইন দিয়ে নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করার নিঞ্জা টেকনিক
কি কি পাবেন উক্ত কোর্সের ভেতর?
- ২০ টি ভিডিও
- ৮ টি প্রোজেক্ট ফাইল
- ২ টি কুইজ
- ৬ টি নোট
৫. SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন)

ব্লগিং, ওয়েবসাইট রাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে সব থেকে বড় সেক্টর হচ্ছে SEO বা Search Engine Optimization. কিন্তু এত বড় সেক্টর কেন আমি আপনাকে রিকোমেন্ট করছি?
প্রতিটি সেক্টরের সাব-সেক্টর থাকে, আর আপনি যদি কোনো সাব-সেক্টরে ভালো ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তবে মার্কেটপ্লেসে কাজ করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
SEO এর অনেক ছোট ছোট সেক্টর রয়েছেঃ
- কি-ওয়ার্ড রিসার্চ
- অনপেজ SEO
- অফপেজ SEO
ইত্যাদি অনেক সেক্টরে আপনি চাইলে একটি সেক্টররের উপর কাজ শিখে ক্লাইন্টকে সেবা প্রদান করতে পারেন।
এছাড়াও, এসইও’র প্রতিটি সাব-সেক্টরের বিশালতা অনেক বেশি, ফলে আপনি কাজ শিখে শিখে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
ধরে নিচ্ছি আপনি শুধুমাত্র ON Page SEO এবং OFF Page SEO নিয়ে কাজ করবেন, তাহলে সেটাও করতে পারেন।
এসব ছোট ছোট বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করতে পারেন, কারন শুরুতেই আপনি সব কিছুতে এক্সপার্ট হয়ে কাজ করতে পারবেন না।
কারন কাজ শিখতে শিখতেই এক্সপার্ট হতে হয়।
তবে প্রতিটা কাজ শিখার জন্য তো কারোর দরকার হয়, তাহলে কিভাবে শিখবেন SEO?
আপনার জন্য রয়েছে “SEO Course for Beginners” ১০ মিনিট স্কুলের একটি দারুণ কোর্স, যাতে আপনি একদম বেসিক থেকে শুরু করে কাজ করার আগ পর্যন্ত সকল অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
কি কি পাবেন এই কোর্সের মধ্যে?
- SEO Basics
- Search Engine নিয়ে আলোচনা
- Domain and Hosting নিয়ে আলোচনা
- কিভাবে কিওয়ার্ড রিচার্স করতে হয়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
- On-Page SEO and Off-Page SEO নিয়ে আলোচনা
কোর্সের সামারিঃ
- ৪১ টি বেসিক টু এডভান্সড ভিডিও
- ৬ সেট কুইজ
৬. ফটোশপ ফটো এডিটিং

বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে ফটো এডিটিং এর চাহিদা আকাশচুম্বী। এমনকি একজন প্রফেশনাল ফটো এডিটর তার ক্যারিয়ার পাড় করে দিতে পারে শুধুমাত্র ফটো এডিটিং কে পেশা হিসেবে বেঁছে নিয়েই।
প্রফেশনাল ক্যারিয়ার গড়ার আগে, আপনাকে বেসিক থেকে শুরু করতে হবে, কেননা আপনি যদি বেসিকটা না বুঝেন তাহলে প্রফেশনাল কাজ করতে গিয়ে আটকে যেতে হবে।
ফটোশপের বেশ কিছু কাজ রয়েছে, যা কিনা আপনি কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আয়ত্ত করতে পারবেন, এবং সেসব কাজ করে মোটামোটিমানের ইনকাম করতে পারবেন।
আর এসব কাজ শিখার জন্য শুরুতেই আপনাকে বেশি কিছু ইনভেস্ট করতে হবে না, তবে আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের মেন্টর দ্বারা প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
তাহলে কিভাবে আপনি শুরু থেকে প্রশিক্ষণ নিবেন?
প্রফেশনাল ফটোশপ শিখার জন্য রয়েছে ১০ মিনিট স্কুলের স্পেশাল একটি কোর্স তা হচ্ছে “Graphic Designing with Photoshop”
যা একটি বেসিক টু এডভান্সড লেভেলের কোর্স, ফলে আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিখতে পারবেন।
কি কি পাবেন এই কোর্সে?
- Adobe Photoshop এর সকল টুল এবং ফিচার্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং ব্যবহারধিবী।
- ফটোশপ দিয়ে ফটো এডিট এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন করা
- বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল বা প্রিন্ট মিডিয়ার কন্টেন্ট তৈরি করা, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টার, লোগো, ব্যানার, ফ্ল্যায়ার ইত্যাদি তৈরি করা
- ফটোশপ দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
কোর্স সামারিঃ
- ৩৭ টি প্রফেশনাল ভিডিও
- ২৯ টি এক্সারসাইজ ফাইল
জরুরি কিছু কথা
উপরের যেই কোর্স গুলো বা স্কিল গুলোর কথা বলা হয়েছে, এই গুলোই শেষ নয়, আপনি চাইলে আরো অনেক শর্ট স্কিল গুলো খোজে পেতে পারেন।
আপনি চাইলে এই স্কিল গুলো আয়ত্ত করে কাজ শুরু করতে পারেন, উপরের উল্লেখিত কোর্সগুলোই যে দেখা লাগবে, তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
আপনার যেসব কাজ করতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে, এবং আপনার স্কিল অর্জনে যেটা বেশি কার্যকরী মনে হয়, সেটি অর্জন করার চেষ্টা করুন।
এখন আসি কিছু প্রশ্নে;
আমি কি উপরের যেকোনো কোর্স করেই টাকা আয় করতে পারবো?
হ্যাঁ! হতে আপনাকে কাজের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে কাজ শিখতে হবে, এবং ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে।
আমি কি ৭ দিনের ভিতরে আয় করতে পারবো?
এটা খুবই সাধারণ প্রশ্ন সবার ক্ষেত্রে, তবে বলা রাখা ভালো, অনলাইনে কোনো কিছুই সহজে হয় না, আপনি ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন আর কাজ শিখতে থাকুক। তাহলেই হবে।
উপরের কোর্সগুলো তো টাকা দিয়ে কিনতে হয়, আমি ফ্রিতে শিখতে চাই?
অনলাইনে কোনো কিছুই ফ্রি নয়, আর আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ শিখতে চান, এবং উপার্জন করতে চান। তাহলে আপনাকে কিছু টাকা ব্যয় করে কোর্স করতেই হবে।
এছাড়াও YouTube এ অনেক সোর্স রয়েছে, সেগুলো দেখতে পারেন।
শেষ কথা
আপনি যদি মনে করেন যে আপনার অনলাইনে একটা ক্যারিয়ার গঠন করা দরকার, কিন্তু আপনি বুঝতেছেন না কিভাবে শুরু করবেন এবং কি কি শিখবেন।
তাহলে উপরের গাইডলাইনটা আপনি ফলো করতে পারেন।
উপরের কোর্স গুলোর মধ্যে যে সব গুলোই আপনাকে শিখতে হবে, বিষয়টা তা নয়, আপনি যেকোনো একটি কোর্সের উপর ভিত্তি করে অনলাইনের যাত্রা শুরু করে দিতে পারেন।
ফলে আপনার ক্যারিয়ার গঠনে এটি একটি বিশেষ ভুমিকা রাখবে, কেননা আসতে আসতে আপনি বড় কিছুর দিকে গিয়ে যাবেন।
তবে শুরুতে ছোট কিছু দিয়েই শুরু করা উত্তম।
কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
আরো জানুন কিভাবে ডোমেইনে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হয়?
নোটঃ এই ব্লগে কিছু এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে আপনি কোনো কিছু ক্রয় করলে ছোট্ট কিছু কমিশন পাবো, যা দিয়ে ওয়েবসাইট মেরামত এবং উন্নয়নের কাজ করা হবে। এতে করে আপনার থেকে কোনো বেশি চার্জ করা হবে না।