SEO কি, বা কিভাবে কাজ করে তা জানার আগে চলুন দেখে নিই SEO নিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য যা আপনাকে অবাক করবে।
Yahoo Finance এর রিপোর্টে, SEO Service Global Market Report 2022 সালে ৫১.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্যাপ। যা ২০২১ সালে ছিলো ৪১.৯৭ বিলিয়ন ডলারে।
ধারনা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত SEO অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মার্কেট ক্যাপ হবে ১০৮.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যা প্রতি বছর ২০.৭% করে বাড়তেছে। বিস্তারিত এখানে পড়ে নিতে পারেন।
এই ছোট্ট রিপোর্ট দেখে বুঝতেই পারছেন বর্তমান সময় এবং আগামি সময়ের মধ্যে SEO মার্কেট কত বড় হতে যাচ্ছে।
যদি বুঝতে পারেন, তাহলে আশা করছি আপনার সিগ্ধান্ত নিতে ভুল হবে না যে, কেন আপনি একজন SEO (Search Engigne Optimization) এক্সপার্ট হবেন।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে SEO টা আসলেই কি? কিসের কাজ কে SEO বলে?
SEO কি?
SEO এর পূর্নরূপ হচ্ছে Search Engine Optimization. আর আপনি হয়ত জানেন যে, Google, Bing, Yahoo, Baido ইত্যাদি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। এর মধ্যে প্রায় ৯৪% মার্কেট ক্যাপ নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে Google.
আমরা যখন কোনো কিছু সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কিছু লিখে সার্চ করি, তখন আমাদের সামনে কোন রেজাল্ট টি দেখাবে, এবং সেটা কিভাবে দেখাবে। তা গুগল কে বুঝানোর মাধ্যম-ই হচ্ছে SEO.
আরেকটু সহজ করে বলি, ধরুন আপনি গুগলে লিখলেন, “SEO শিখে কি ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব“। এখন গুগল আপনাকে যেই রেজাল্ট দেখাবে, সেটা দেখানোর পিছনে যেইসব কারিকুলাম কাজ করে। তাই হচ্ছে SEO.

এখানে সার্চ রেজাল্টে কিভাবে প্রথম পেজের প্রথম স্থানে এসেছে আমার ওয়েবসাইট, তা করার প্রক্রিয়ায় মূলত হচ্ছে SEO বা Search Engine Optimization.
SEO কিভাবে কাজ করে?
এসইও কিভাবে কাজ করে, সেটা জানতে হলে আপনাকে পূর্বে কিছু বিষয় জানতে হবে, যেমন গুগল এর র্যাংকিং ফ্যাক্টর কিভাবে কাজ করে তার উপর।
একটা দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, গুগল কখনই বলে না যে, গুগলের র্যাংকিং ফ্যাক্টর কোন কোন কাজের ভিত্তিতে কাজ করে।
তবে তারা বেশ কিছু গাইডলাইন দিয়ে দেয়, যা ফলে করে গুগলের সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজের প্রথম স্থানে আসা যায়।

১. কোয়ালিটি কন্টেন্ট
সর্বশেষ গুগল স্প্যাম আপডেট এর তথ্য অনুসারে, আপনাকে সব সময় ইউজারদের কথা মাথায় রেখেই কন্টেন্ট লিখতে হবে।
অর্থাৎ, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে হাই-কোয়ালিটি কন্টেন্ট, যা শুধুমাত্র ইউজারদের উপকারে আসে। এর বাহিরে কোনো প্রকার কন্টেন্ট আপনি গুগলের কাছে গুরত্ব পাবেন না।
যেসব তথ্য দিলে আপনার ইউজার উপকৃত হবে, এবং তারা আপনার ওয়েবসাইটে বার বার ফিরে আসতে চাইবে। আপনাকে সেসব কন্টেন্ট-এর উপর ফোকাস করেই কাজ করতে হবে।
২. কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন
এটি একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ এসইও-র ক্ষেত্রে, আপনাকে জানতে হবে কিভাবে কোন কন্টেন্ট লিখে উপস্থাপন করলে আপনার কন্টেন্টটি ইউজার-ফ্রেন্ডলি হবে।
প্রপার হেডিং (H1, H2, H3, H4, H5, H6) ট্যাগ ব্যবহার করে, কোথায় কি ধরনের ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়, তা সম্পর্কে পূর্ন ধারনা রাখা।
এছাড়াও ইমেইজ অপ্টিমাইজেশন করা সহ ইত্যাদি আরো নানান অপ্টিমাইজেশন করে আপনার কন্টেন্টকে ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত করে তুলতেই হবে।
৩. ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন
এসইও-র দুনিয়ায়, সব থেকে বড় এবং বেশি গুরুত্বপুর্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ওয়েবসাইট এর স্পীড বা লোডিং টাইম।
একজন ব্যবহারকারী আপনার ওয়েবসাইটটি তার ডিভাইস থেকে কত সেকেন্ডের মধ্যে লোড করবে, তাই হচ্ছে লোডিং টাইম।
গুগল এর রুলস মতে ৩ সেকেন্ডের বেশি যেসব ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম হয়, সেগুলোকে তারা র্যাংকিং দিতে চায় না।
ফলে আপনাকে প্রথমেই যেটি নিশ্চিত করতে হবে, তা হচ্ছে ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম যে ৩ (তিন) সেকেন্ডের কম হয়।
ফলে আপনার ভিজিটর-রা আপনার ওয়েবসাইট থেকে বাউন্স করে বেড়িয়ে যাবে না, এতে করে আপনার বাইন্সিং রেট (SEO এর একটি ট্রাম) কমে যাবে। যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য উপকারী।
ইত্যাদি আরো নানান SEO Ranking Factor রয়েছে, যা আপনার ওয়েবসাইটের রাঙ্কিং এর উপর প্রভাব ফেলে। সেগুলো আপনার SEO শিখা শুরু করার পর, ধীরে ধীরে জানতে পারবেন।
কিভাবে SEO করতে হয়?

আপনি যখন Google বা Bing এ কোনো কিছু লিখে সার্চ করেন, তখন যা দেখতে পান। তা হচ্ছে সার্চ রেজাল্ট। আর যা লিখে সার্চ করেছেন, তা হচ্ছে কিওয়ার্ড (Keyword)।
সার্চ রেজাল্টে আপনি যা যা দেখতে পেয়েছেন, তার মধ্যে প্রায় সকলেও তাদের ওয়েবসাইট প্রথম পেজে প্রথম স্থানে আসার জন্য আপনার “লিখিত” কিওয়ার্ডের উপর এসইও করেছে।
এসইও করার প্রথম শর্ত হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ, যা সব থেকে গুরুত্বপূর্ন এবং সময় সাপেক্ষ কাজ।
কিওয়ার্ড রিসার্চ কি?
আপনি হয়ত ইতিপূর্বেই জেনেছেন যে, কিওয়ার্ড কি। এখন কথা হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ কি?
খুব সহজ বিষয়। আপনি কোন কোন কিওয়ার্ডের জন্য গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদি সার্চইঞ্জিনে রাঙ্ক করতে চান তা খুঁজে বের করাই হচ্ছে “কিওয়ার্ড রিসার্চ“।
কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য আপনাকে কিছু ফ্রি বা পেইড টুলস ব্যবহার করতে হবে, কেননা আপনি বুঝতে পারেন না যে, আপনার চাহিদা-সম্পন্ন কিওয়ার্ড কি রকম কম্পিটিটিভ বা রাঙ্ক করতে অসুবিধা হবে।
বেশ কিছু ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস রয়েছে, যেমনঃ
SEMrush, Ahref, Google Keyword Planner এবং Keyword Intent ইত্যাদি যা দিয়ে আপনি ফ্রি/ পেইড ভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে সক্ষম হবেন।
উক্ত টুলস গুলো ব্যবহার করে আপনি একটি ধারনা নিতে পারবেন যে, আপনার কিওয়ার্ড গুলো কি কি হবে, এবং সেগুলো দিয়ে কোন কোন দেশে, বা স্টেটে কাজ করলে আপনি সফল হবেন।
ব্যাকলিংক তৈরি
এসইও-র আরেকটি গুরুত্বপুর্ন পার্ট হলো, ব্যাকলিঙ্ক। বুঝিয়ে বলছিঃ ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইট আছে xyz.com নামে।
সেই সাইটে আপনি আমার ওয়েবসাইট (akramhossain.com) এর এই লিংকটি বসিয়ে দিলেন। ফলে আমার ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইট থেকে একটি লিংক পেয়ে গেলো।
সেটাই হচ্ছে Backlink.
এসইও-র রাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে ব্যাকলিংক খুব উপকারি এবং এফেক্টিভ একটি বিষয়, যা আপনার কন্টেন্ট এবং ডোমেইনের রাঙ্ক-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
একটি কন্টেন্ট কে গুগলের প্রথম পেজে আনার জন্য আপনাকে বেশ মানের কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে হবে।
আরো অনেক কিছু বিষয় মাথায় রেখেই আপনাকে কাজ করতে হবে।
কোথা থেকে শিখবেন SEO?

কোথা থেকে এসইও শিখবেন, তার আগে আপনাকে জিজ্ঞাস করতে চাই যে,
আপনি কেন এসইও শিখবেন?
এসইও-র মার্কেট ক্যাপ এখন দিন দিন-ই বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে আপনি চাইলেই আপনার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য এসইও-র উপর ফোকাস করতে পারেন।
একজন সত্যি-কারের এসইও এক্সপার্টের চাহিদা অনেক অনেক বেশি। আর আপনি যদি প্রফেশনাল লেভেলে এসইও শিখতে পারেন।
তাহলে প্রতি বছর ৫০-৬০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব এসইও সার্ভিস দিয়ে।
চাইলেই কি এসইও সার্ভিস দেওয়া যাবে?
কোনো কিছুর বেসিক জেনে তো আপনি চাইলেই এক্সপার্ট লেভেলের কাজ করতে পারবেন না, সেজন্য আপনাকে সঠিক ধারনা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
আর কোনো বিষয়ের প্রতি অভিজ্ঞতা আসে কাজ করার মাধ্যমে, শিখার মাধ্যমে। আপনি যদি বেশি কাজ করবেন, ততই আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে।
তাহলে কি আপনার উচিৎ না ভালো ভাবে এসইও নিয়ে জানা, বুঝা, শিখা?
এসইও শিখার জন্য আপনার জন্য রয়েছে ফ্ল্যাগশীপ লেভেল কোর্স যা তে আপনি একদম বিন্দু থেকে শুরু করে প্রফেশনাল লেভেল পর্যন্ত বাস্তব কাজের ধারনা এবং কিভাবে এসইও করতে হয়, সব কিছু সম্পর্কে ধারনা পাবেন।
কি কি পাবেন এই কোর্সে?
- ৭৫+ প্রফেশনাল রিয়েল-টাইম প্রজেক্ট নিয়ে বাস্তব সম্মত ভিডিও
- SEO এর জিরো থেকে এডভান্সড পর্যন্ত হাতে কলমে শিখার জন্য ভিডিও
- ১২+ বছর বয়সের অভিজ্ঞতা নিয়ে কোর্সটি তৈরি
- এসইও শিখার ক্ষেত্রে যত সমস্যা এবং সেসব এর সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
- Discord এ কোমিউনিটি সাপোর্ট এবং সাপ্তাহিক লাইভ সাপোর্ট
কোর্স সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চাচ্ছেন? এখানে থেকে জেনে নিন।
আপনি শুরু করার আগে বেশ কিছু প্রশ্ন হয়ত মনে মনে ভাবতেছেন, চলুন দেখা যাক নিম্নের প্রশ্নোত্তরের সাথে মিল পাওয়া যায় কিনা।
কিছু প্রশ্নোত্তর
-
এই কোর্স এত দামি কেন?
যেহেতু এখানে প্রতিটি ভিডিও নিজের কাজের অভিজ্ঞতা এবং সব কিছু রিয়েল প্রজেক্ট থেকে করা হয়েছে।
আর যেসব রিসোর্স ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রিমিয়াম লেভেলের। ফলে দাম কিছুটা বেশি।
তবে আশা করছি দামি কোর্স হলেও আপনি কোর্স করে ঠকবেন না। জিবনের প্রথম প্রজেক্টেই হয়ত আপনার কোর্সের দাম উঠে যাবে। -
এই কোর্স করে কি আমি ১-২ মাসের মধ্যে ইনকাম শুরু করতে পারবো?
পৃথিবীতে এমন কোনো কোর্স নেই যে আপনাকে ইনকামের গ্যারান্টি দিতে পারবে। তবে এটা যেহেতু একটা প্রিমিয়াম লেভেলের কোর্স।
ফলে আপনি যদি শিখার মত শিখতে পারেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন ডেডিকেটেড ভাবে।
তাহলে আশা করা যায় আপনি খুব দ্রুতই আয় শুরু করে দিতে পারবেন। -
এই কোর্স করে কি আমি এসইও এক্সপার্ট হয়ে যাবো?
এক্সপার্ট হওয়া না হওয়া সেটা ব্যক্তি-ব্যক্তি ভিন্ন হয়, কারন একই জিনিস এক এক জনের কাছে এক এক রকমের হয়ে থাকে।
ফলে একই জিনিস এক এক মানুষ এক এক ভাবে গ্রহন করে, প্রত্যেকের চিন্তা ক্ষমতা, শিক্ষা গ্রহনের ক্ষমতা ভিন্ন হয়ে থাকে।
তবে এটি একটি এক্সপার্ট লেভেলের কোর্স, যা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে আপনি এক্সপার্ট লেভেল অর্জন করার প্রচেষ্টা করতে পারবেন।